বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
অর্থ- আল্লাহর নাম নিয়ে পড়া শুরু করছি, যিনি সীমাহীন দয়ালু এবং সীমাহীন করুণাময়।
নাযিল : মাক্কাহ, আয়াত : 52 টি।
সৌরজগৎ ধ্বংসের বিপদটা আসবেই।
69:1 নং আয়াহ : যে মহাবিপদ আসবেই,
69:2 নং আয়াহ : যে মহাবিপদ আসবেই, তা কি!
নাবী (সা) জানতেন না মহাবিপদটা আসলে কি!
69:3 নং আয়াহ : আপনি কি জানেন- যে মহাবিপদ আসবেই [75:6-11], তা আসলে [29:48, 42:52] কি??
# সৌরজগৎ ধ্বংস হয়ে যাবে! তাহলে মানবজাতির কি হবে?? উত্তর আল্লাহ নিজেই দিয়েছেন 51:22 এ। যান, গিয়ে দেখে আসুন।
সামূদ ও আদ জাতি কেন ধ্বংস হয়েছিল??
69:4 নং আয়াহ : সামূদ ও আদ জাতি অস্বীকার করেছিল কারিয়া/ সৌরজগৎ ধ্বংস [101:1-3]।
সামূদ জাতি ধ্বংস কিভাবে ধ্বংস হয়েছিল??
69:5 নং আয়াহ : অতঃপর সামূদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল বিকট শব্দ [11:67-68, 7:78] দ্বারা।
আদ জাতি ধ্বংস কিভাবে ধ্বংস হয়েছিল??
69:6 নং আয়াহ : অপরদিকে আদ জাতিকে ধ্বংস করা হয়েছিল হিমশীতল ঝড় [54:34] দ্বারা।
আজ জাতির পরিণতি যেমন হয়েছিল।
69:7 নং আয়াহ : তাদের উপর তা প্রবাহিত হতে থাকে সাত রাত ও আট দিন ধরে। (সেখানে থাকলে) সেই জাতিকে আপনি এমন ভাবে দেখতে পেতেন- “যেন তারা গোড়া উঠে মাটিতে পড়ে থাকা প্রাণহীন খেঁজুর গাছের কান্ড সমূহ”।
আদ জাতি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।
69:8 নং আয়াহ : আপনি এখন তাদের অবশিষ্ট আর কিছু দেখতে পান??
ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার পরিণতি।
69:9 নং আয়াহ : আর ছিল ফিরআউন, তার পূর্ববর্তীরা এবং উল্টে দেওয়া শহরবাসীরা [11:82]। তারা ছিল ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত [69:37]।
রাসূলকে অস্বীকার কতটা গুরুতর বিষয়??
69:10 নং আয়াহ : কেননা, তারা অমান্য (১) করেছিল তাদের প্রভুর একজন রাসূলকে (২)। ফলে আল্লাহ তাদেরকে কঠিন ভাবে ধরলেন (৩)।
১ রাসূলকে অমান্য করা মানেই প্রকৃতপক্ষে আল্লাহকে অমান্য করা। অথচ হাদীশ অস্বীকারকারীগণ বলেন- “রাসূলকে মেনে চলার দরকার নেই, শুধু কুরআন মেনে চললেই হবে”। কিন্তু পবিত্র কুরআন বলে- “রাসূলের অনুসরণই আল্লাহর অনুসরণ”(4:80)। সুতরাং রাসূলের অনুসরণ না করে কুরআন অনুসরণ অসম্ভব।
২ “আমরা জানি- তারা একজন রাসূলকে অস্বীকার করে নি, বরং একাধিক রাসূলকে অস্বীকার করেছিল”। তাহলে এখানে একজন রাসূলের কথা বলা হচ্ছে কেন?? উত্তর খুবই সহজ। প্রত্যেকটা রাসূলের বার্তা ছিল একই (21:25)। তাদের মিশন ছিল একই (16:36)। তাদেরকে বিধান দেওয়া হয়েছিল একই (41:43)। এই জন্য এখানে একাধিক রাসূলকে একজন গণ্য করা হয়েছে। বিস্তারিত জানতে দেখুন 73:15 আয়াহর টিকা।
৩ এখানে ‛ধরলেন’ বলতে হাত দিয়ে ধরা নয়। এটা আরবি বাক রীতি। এখানে ধরলেন বলতে, শাস্তি দিলেন।
নূহ (আ) এর নৌকার ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেল।
69:11 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই আমরা প্রচণ্ড জলোচ্ছ্বাসে তোমাদেরকে বড় একটি নৌকায় [11:37-44] আরোহী করেছিলাম।
69:12 নং আয়াহ : যেন তা (নূহের নৌকা) তোমাদের জন্য হয় শিক্ষার বিষয়। যেন তার স্মৃতি বহন করে কান ও পাথর।
# ‛কান ও পাথর’ বলতে কি?? প্রাচীন যুগে, যখন লেখার উপকরণ সহজলভ্য ছিল না, তখন আল্লাহর নাযিল করা কিতাব সংরক্ষণ করা হোত একে অপরের থেকে শুনে শুনে মুখস্থ বিদ্যার মাধ্যমে। যেমন, 4 টি বেদ। তাই এখানে ‛কান’ এর কথা বলা হয়েছে। দ্বিতীয় হল পাথর, এই সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলা হয়েছে 54:15 তে।
শিংগায় প্রথম ফুঁ, তার পরিণতি।
69:13 নং আয়াহ : অতঃপর যখন শিংগায় ফুঁ দেওয়া হবে, একটি ফুঁ [27:87]।
69:14 নং আয়াহ : এবং টেকটোনিক প্লেট গুলো সঞ্চালিত হবে। একারণে পাহাড় পর্বত সমূহ চূর্ণবিচূর্ণ হবে [56:4-6]। এটা হবে প্রথম বারেরই।
69:15 নং আয়াহ : অতঃপর সেদিন প্রতিক্ষিত ঘটনাটি ঘটবে [69:4, 56:1-3]।
মহাবিশ্ব কেন/ কিভাবে সংকোচিত হবে??
69:16 নং আয়াহ : সেদিন মহাবিশ্ব সংকোচিত হয়ে যাবে মহাকর্ষ বলের মাধ্যমে [21:104]।
সংকোচিত মহাবিশ্বের উপর বিচার দিবস অনুষ্ঠিত হবে।
69:17 নং আয়াহ : ফেরেস্তারা (সংকোচিত/ একত্রিত মহাবিশ্বের) প্রান্তে অবস্থান করবে। আর সেদিন আট জন ফেরেস্তার উপর দায়িত্ব থাকবে তাদের প্রভুর জন্য আরশ/ সিংহাসন তৈরি করার।
# আরশে আল্লাহ নিজেকে প্রকাশ করবেন। সর্বপ্রথম আল্লাহর ‛পা’ প্রকাশিত হবে (68:42)। মূমীন ও মুসলিমরা আল্লাহর সাক্ষাৎ লাভ করবে (84:7)। আর কাফির, মুশরিক ও মুনাফিকরা বঞ্চিত হবে (83:15)।
কিভাবে/ কোথায় থেকে পুনরুত্থান হবে??
69:18 নং আয়াহ : সেদিন তোমাদেরকে (পৃণ্ড) থেকে উত্থিত [84:4] করা হবে [70:43] এবং তোমাদের মধ্যেকার কোনও কিছুই আড়াল/ গোপন কথা হবে না।
ডানপন্থী, তার পরিণতি ও তার বক্তব্য।
69:19 নং আয়াহ : অতঃপর যাকে তার আমলনামা ডান হাতে দেওয়া হবে, সে বলবে- “এখন পড়ে দেখ আমার আমলনামা” [84:7-9]।
69:20 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই আমি জানতাম যে, আমি হিসাবের সম্মুখীন হব।
69:21 নং আয়াহ : অতঃপর সে (আল্লাহর) সন্তুষ্টির মধ্যে জীবন যাপন করবে [56:27-40]।
জান্নাত হবে সুবৃহৎ, আমাদের মহাবিশ্বের মতোই।
69:22 নং আয়াহ : থাকবে সুবৃহৎ জান্নাতে [3:132, 57:21]।
# জান্নাত আর অন্য কিছু নয়। তা হল- Antiuniverse বা বিপরীত মহাবিশ্ব (প্রতিমহাবিশ্ব)। তার আকার আকৃতি আমাদের মহাবিশ্বের মতোই হওয়া উচিৎ।
জান্নাতের ফল সমূহ জান্নাতীর কাছেই ঝুলে থাকবে।
69:23 নং আয়াহ : ভিন্ন ভিন্ন গাছের ভিন্ন ভিন্ন ফল সমূহ তার নিকটেই ঝুলে থাকবে [56:32-33]।
জান্নাতীদের বিশেষ ভাবে যা বলা হবে।
69:24 নং আয়াহ : (বলা হবে) “খাও, পান কর আনন্দ ফূর্তি সহকারে। তোমরা (আল্লাহর বিধান মেনে) যেভাবে বিগত দিনগুলো কাটিয়েছ তার বিনিময়ে [43:72]।
বামপন্থী, তার পরিণতি ও তার বক্তব্য।
69:25 নং আয়াহ : অপরদিকে যাকে তার আমলনামা বাম হাতে দেওয়া হবে [84:10:12], হে বলবে- “হায়, যদি আমাকে আমলনামা দেওয়াই না হোত!
নাস্তিক যা যা ভাবে, সেদিন যা যা স্বীকার করবে।
69:26 নং আয়াহ : আমি জানতাম না যে, আমার হিসাব হবে।
69:27 নং আয়াহ : হায়, যদি তা (বিগত জীবন) চূড়ান্ত/ শেষ [45:24] হোত!
ধনসম্পদ ও শাসন ক্ষমতা কোনও কাজের নয়।
69:28 নং আয়াহ : কোনও কাজে আসল না আমার অগণিত ধনসম্পদ [3:91]।
69:29 নং আয়াহ : আমার থেকে আমার ক্ষমতা/ শাসনও ধ্বংস হয়ে গেছে” [44:49]।
# একটি হাদীশ, নাবী (সা) বলেছেন- “আমি জান্নাতে উঁকি দিয়ে দেখতে পেলাম যে, তার অধিকাংশ অধিবাসীই দরিদ্র” (বুখারী, হাদীশ 6546)।
জাহান্নামীদের বেড়ী ও সত্তর হাত লম্বা শিকল পরান হবে।
69:30 নং আয়াহ : (বলা হবে) “তাকে ধর, তাকে বেড়ী পরাও।
69:31 নং আয়াহ : অতঃপর তাকে জাহান্নামে দগ্ধ হতে দাও [4:56, 44:47-48]।
69:32 নং আয়াহ : তারপর তাকে সত্তর হাত লম্বা শিকল দ্বারা শিকলাবদ্ধ কর” [104:9]।
নাস্তিকরা জাহান্নামী।
69:33 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই সে আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করত না, যিনি মহান।
খাদ্য দানে নিরুৎসাহিত কারীও জাহান্নামী।
69:34 নং আয়াহ : আর না সে নিরুপায় গরীবদেরকে খাদ্য দানে উৎসাহিত করত না [57:24, 107:3]।
জাহান্নামী কোনও কাজে আসার মতো বন্ধু পাবে না।
69:35 নং আয়াত : সুতরাং আজ তার কোনও অন্তরঙ্গ বন্ধু [43:67, 70:10, 25:28] নেই/ থাকবে না।
জাহান্নামীদের একমাত্র খাদ্য।
69:36 নং আয়াহ : আর না সে গিসলীন (কুল গাছের কাঁটা) ছাড়া কোনও খাদ্য [88:6-7, 44:43-44] পাবে।
ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার পরিণতি।
69:37 নং আয়াহ : ভুলের উপর প্রতিষ্ঠিতরাই শুধু তা খাবে, অন্য কেউ নয় [69:9]।
পদার্থ দুই ধরণের, সাধারণ ম্যাটার ও ডার্ক ম্যাটার।
69:38 নং আয়াহ : কখনও (এর বিপরীত হবে) না। আমি শপথ করছি সেই পদার্থের, যা তোমরা দেখতে পাও।
69:39 নং আয়াহ : এবং সেই পদার্থের, যা তোমরা দেখতে পাও না/ পাবেও না।
# সাধারণ ম্যাটার দেখা যায়, ডার্ক ম্যাটার দেখা যায় না/ যাবে না। এখানে আল্লাহ দুই ধরণের পদার্থের সংজ্ঞা উল্লেখ করেছেন।
কুরআন জিবরীল (আ) এর মুখ নিঃসৃত বাণী।
69:40 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই তা (কুরআন) সম্মানিত রাসূলের [81:19, 2:97] মুখ নিঃসৃত বাণী।
কুরআন কোনও কবির কবিতার বই নয়।
69:41 নং আয়াহ : আর তা (কুরআন) কোনও কবির মুখ নিঃসৃত কবিতা/ রচনা নয় [36:69]। তবে তোমরা কম সংখ্যকই সত্য স্বীকার করতে পারো।
কুরআন গণকের অনুমানকৃত কথাবার্তা নয়।
69:42 নং আয়াহ : আর না তা কোনও গণকের মুখ নিঃসৃত বাণী। তোমরা কম সংখ্যকই (তা নিয়ে) গবেষণা [38:29, 47:24] করে থাকো
# ইসলামে জ্যোতিষ চর্চা হারাম। হারাম এজন্য যে, তা অবৈজ্ঞানিক ও মিথ্যা। এই সম্পর্কে জানতে 5:90 এর টিকা দেখুন।
কুরআন আল্লাহ নাযিল করেছেন।
69:43 নং আয়াহ : মহাবিশ্ব সমূহের প্রভুর পক্ষ [32:2] থেকে নাযিলকৃত [10:37]।
নাবী (সা) কুরআনের নামে বানিয়ে কিছু বলেন নি।
69:44 নং আয়াহ : যদি তিনি (মুহাম্মাদ) তার নিজস্ব কথা আমাদের নামে/ আমাদের বিপক্ষে বলতেন,
কুরআনের নামে বানিয়ে বললে নাবী (সা) এর যা হোত।
69:45 নং আয়াহ : তাহলে আমরা তাকে ডানহাত দ্বারা ধরে ফেলতাম।
69:46 নং আয়াহ : অতঃপর আমরা তার ‘ক্যরোটিড ধমনী’কেটে দিতাম।
# ‛ক্যরোটিড ধমনী’ বলতে কি?? যে ধমনী দ্বারা মানব মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছায়।
69:47 নং আয়াহ : আর আমাদের হাত থেকে কেউই তাকে বাঁচাতে পারতো না।
# ইসলাম বিদ্বেষীগণ বুখারীর 4428, 4512 হাদীশ উদ্ধৃতি বলেন- “মৃত্যুর সময় নাবী (সা) এর মনে হচ্ছিল যে, তার শিরা ধমনী গুলো যেন কেটে/ ছিঁড়ে যাচ্ছে”। তারা এও বলেন- “তারমানে নাবী (সা) কুরআনের নামে নিজের কথা চালিয়ে দিয়েছেন”!
যদিও এই দাবি হাস্যকর। যদি তাদের দাবি সত্য বলে ধরে নিই, তারমানে তারা ধরে নিচ্ছেন- “কুরআন আল্লাহ নাযিল করেছেন এবং নাবী (সা) তাতে নিজের কথা ঢুকিয়েছেন”। নয়ত 69:45-47 আয়াতের দাবির পেক্ষিতে হাদীশ জোগাড় করে তা সত্য প্রমাণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে কেন! তাই না??
এখন বলুন যে, আপনি কি মেনেই নিচ্ছেন- “কুরআন আল্লাহর নাযিল করা”?? এখন ঐ ইসলাম বিদ্বেষী ‛হ্যাঁ’ বললেই উত্তর শেষ। কেননা, ‛হ্যাঁ’ মানেই আল্লাহর অস্তিত্ব স্বীকার করতে হবে। আর ‛না’ বললেও উত্তর শেষ। কেনন, ‛না’ মানেই কুরআন আল্লাহর নাযিল করা নয়। এতএব 69:45-47 আয়াতও মিথ্যা।
এটা প্রথম উত্তর। এবার দ্বিতীয়ত, পবিত্র কুরআনে বলা হয়েছে ‛ওয়াতীন’। যার অর্থ- যে ধমনী মস্তিষ্কে রক্ত পৌঁছে দেয়। আর হাদীশে বলা হয়েছে ‛আবহার’। যার অর্থ শিরা ধমনী। অর্থ সম্পূর্ণ আলাদা। যদি নাবী বলতেন ‘ওয়াতীন’ কেটে দেওয়া হচ্ছে, তাহলে এই দাবির দম থাকত।
তৃতীয়ত, ঐ দুই হাদীশের প্রসঙ্গটা দেখুন। ওখানে প্রসঙ্গ খাইবারে ছাগলের মাংসের সঙ্গে বিষপান। বিষপানের জন্য তার মনে হচ্ছিল- “যেন শিরা ধমনী গুলো কেটে/ ছিঁড়ে যাচ্ছে”। তিনি বলেন নি যে, আল্লাহ শিরা ধমনী গুলো কেটে দিচ্ছেন”।
কুরআন কাদের জন্য জীবন পরিচালনার বিধান??
69:48 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই তা মুত্তাকী (অপকর্ম থেকে দূরত্ব সৃষ্টিকারী) দের জন্য [2:2] জীবন বিধান।
মূমীন হওয়া সত্ত্বেও কুরআন অস্বীকারকারী।
69:49 নং আয়াহ : আর আমরা জানি যে, তোমাদের মধ্যে (মূমীন হওয়া সত্ত্বেও কুরআন) অস্বীকারকারীরা [12:106] রয়েছে।
# সালাফী/ আহলে হাদীশগণের মধ্যে এমনটা দেখা যায় যে, তারা হাদীশ মানতে গিয়ে মাঝে মধ্যেই পরোক্ষভাবে পবিত্র কুরআন অস্বীকার করে ফেলেন।
কুরআন কাফেরদের জন্য আফসোসের কারণ হবে।
69:50 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই তা কাফির/ সত্য অস্বীকার কারীদের জন্য আফসোসের কারণ হবে।
# কিন্তু কিভাবে?? পবিত্র কুরআন কুসংস্কার, গোঁড়ামি মুক্ত ও মুক্ত চিন্তার মানুষরা পড়বেন এবং ইসলাম গ্ৰহণ করবেন। আর এটা কাফিরদের জন্য আফসোসের কারণ হবে। প্রশ্ন হবে- “তাহলে এতদিন হয় নি কেন”?? হয়েছে কিন্তু কম। এই অনুবাদ ও তাফসীর পরিস্থিতি বদলে দেবে- ইনশাআল্লাহ। পরিক্ষা করে দেখতে চাইলে কুসংস্কার, গোঁড়ামি মুক্ত ও মুক্ত চিন্তার মানুষদেরকে এই অনুবাদ ও তাফসীর দিয়ে দেখুন। ফলাফল হাতে নাতে পাবেন, ইনশাআল্লাহ।
কুরআন সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য।
69:51 নং আয়াহ : এবং নিশ্চয়ই তা (কুরআন) সর্বযুগ/ সর্বকালের জন্য প্রযোজ্য সুদৃঢ় সত্য [41:53, 29:51]।
আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনার নির্দেশ।
69:52 নং আয়াহ : সুতরাং আপনি আপনার মহান প্রভুর নামের পবিত্রতা বর্ণনা করুন [55:78]।
# নাবী (সা) বলেছেন- দুটি এমন বাক্য আছে, যা উচ্চারণে খুবই সহজ কিন্তু পাল্লায় অতি ভারি গণ্য হবে। আর তা হল- A) সুবহানআল্লাহিল আজ্বীম, B) সুবহানআল্লাহি ওয়া বিহামদিহি (বুখারী, হাদীস 6406)। অর্থ হল- A) আল্লাহ পবিত্র ও মহান, B) আল্লাহ পবিত্র ও প্রশংসিত।