বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।
অর্থ- আল্লাহর নাম নিয়ে পড়া শুরু করছি, যিনি সীমাহীন দয়ালু এবং সীমাহীন করুণাময়।
নাযিল : মাক্কাহ, আয়াত : 99 টি।
বিছিন্ন অক্ষর গুলো আসলে কি??
15:1 নং আয়াহ : আলিফ লাম রা। ঐ গুলো কিতাব/ লৌহে মাহফুজ্বের আয়াত [85:21-22], আর সুস্পষ্ট কুরআনেরও।
একদিন ইসলাম গ্ৰহণের হিড়িক পড়ে যাবে।
15:2 নং আয়াহ : (এমন সময় আসবে) যারা কাফির/ অমুসলিম, তারাও (কুরআন সত্যতা [41:53] বুঝে) মাঝে মধ্যে আকাঙ্খা করবে- “যদি তারাও (তোমাদের মত) মুসলিম [110:1-2] হতে পারত”!
নাবী (সা) কে কারোর পিছনে ‛পড়ে না থাকার’ নির্দেশ।
15:3 নং আয়াহ : তাদেরকে ছেড়ে দিন। তারা খেতে থাকুক [47:12], ভোগ করতে থাকুক এবং তাদেরকে ইহজীবনের মোহ আচ্ছন্ন করে রাখুক [39:8, 77:46]। তারা মিথ্যা আশা আকাঙ্খা করতে থাকুক (যে, আল্লাহ নেই, পরকাল নেই)। শীঘ্রই তারা (সত্য) জানতে পারবে [86:17]।
কোনও জাতি/ গোষ্ঠীকে ধ্বংসের আগে পূর্ণ অবকাশ দেন।
15:4 নং আয়াহ : আর আমরা কোনও জনপদ/ সভ্যতাকে ধ্বংস করি নি, সংরক্ষিত সময়ের অবকাশ [63:10-11] না দিয়ে।
15:5 নং আয়াহ : কোনও উম্মাত (জাতি/ গোষ্ঠি/ সম্প্রদায়) তার নির্ধারিত (উত্থান ও পতনের) সময়কে এগিয়ে আনতে পারে না, আর না পিছোতে পারে [10:49]।
নাবী (সা) কে ‛পাগল’ বলে আখ্যায়িত করা হোত।
15:6 নং আয়াহ : আর তারা বলে- “হে (মুহাম্মাদ), তোমাকে বলছি, যার উপর যিকির/ বিধান নাযিল হয়েছে, অবশ্যই তুমি মাজনূ/ পাগল [51:52, 68:2]।
মাক্কাহর মানুষরা ফেরেস্তাদের নামানোর দাবি করত।
15:7 নং আয়াহ : তুমি আমাদের কাছে (ফেরেস্তা) আনছ না কেন [6:111]?? যদি তুমি হয়ে থাক স্বাদিক/ সত্যবাদী [25:7, 17:95]।
তাদের দাবির পেক্ষিতে আল্লাহর জবাব।
15:8 নং আয়াহ : আমরা যথাযথ কারণ ছাড়া মালাইকা/ ফেরেস্তাদের নামাই না (পৃথিবীতে)। আর (ফেরেস্তাদের নামালে) অবকাশ পেত না [22:48, 32:11]।
আল্লাহর বিধান, আল্লাহ রক্ষা করবেন।
15:9 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই আমরা নাযিল করেছি যিকির/ বিধান এবং অবশ্যই আমরাই তার হাফিজ্ব/ রক্ষক।
প্রতিটা জনপদ/ সভ্যতায় রাসূল গিয়েছে।
15:10 নং আয়াহ : আর অবশ্যই আমরা আপনার পূর্বে প্রত্যেকটা জনপদে/ সভ্যতায় রাসূল পাঠিয়েছি [17:15, 35:24, 13:7, 13:38]।
প্রতিটা নাবী রাসূলকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করা হয়েছে।
15:11 নং আয়াহ : এবং তাদের কাছে এমন কোনও রাসুল আসে নি, যাকে তারা ব্যঙ্গ বিদ্রুপ [6:10] করে নি [13:32, 15:94-95]।
ইসলামী বিধান অপরাধীদের জন্য ভয়ের কারণ।
15:12 নং আয়াহ : এভাবে আমরা মুজরিম/ অপরাধীদের মস্তিষ্ক সমূহে তা (ইসলামী বিধানের ভয়) প্রবেশ করাই।
# কিসের ভয়?? ইসলামী বিধানের। চোর অবশ্যই ইসলামী বিধানকে পায় (হাত কাটা যাবে), ধর্ষক অবশ্যই ইসলামী বিধানকে ভয় পায় (পাথর ছুঁড়ে হত্যা)। এখানে এই ভয়ের কথা বলা হচ্ছে। অর্থাৎ ইসলামী বিধানকে শুধু অপরাধীরাই ভয় পায়/ পাবে।
আল্লাহর কিতাব অস্বীকার করা ছিল পূর্ববর্তী উম্মাতদের রীতি।
15:13 নং আয়াহ : এরা তার (কুরআনের) উপর ইমান আনবে না। আর অবশ্যই (এটা নতুন নয়), এটাই ছিল পূর্ববর্তীদিদের সুন্নাত/ রীতি।
ওয়ার্ম হোলের দরজা আছে, তাতে প্রবেশ করাও যাবে।
15:14 নং আয়াহ : আর আমরা যদি তাদের জন্য খুলে দিই মহাকাশে/ মহাশূন্যে অবস্থিত (ওয়ার্ম হোলের) কোনও দরজা এবং তারা তাতে প্রবেশ করত [51:3, 51:7],
15:15 নং আয়াহ : তারা অবশ্যই বলত- “আমাদের দৃষ্টি গুলোকে সম্মোহিত করা হয়েছে। না না, বরং আমরা তো জাদুগ্ৰস্থ কাওম/ জাতি হয়ে পড়েছি”।
মহাশূন্যে অবস্থিত গ্যালাক্সি গুলো আমাদের জন্য আকর্ষণীয়।
15:16 নং আয়াহ : আর অবশ্যই আমরা মহাশূন্যে অস্তিত্বে এনেছি/ আনি গ্যালাক্সি সমূহকে [25:61]। যা নাজ্বিরীন/ দর্শকদের জন্য আকর্ষণীয়/ জ্ঞান বৃদ্ধিকর।
গ্যালাক্সি সমূহ একদিন মানবজাতির নিয়ন্ত্রণে আসবে।
15:17 নং আয়াহ : এবং সেগুলোকে (গ্যালাক্সি গুলোকে) রক্ষা করেছি প্রত্যেক বিতাড়িত শাইত্বান থেকে (যেন গ্যালাক্সি গুলোকে মানবজাতির নিয়ন্ত্রণে দেওয়া [45:13] সম্ভব হয়)।
জিনদেরকে কুরআন শ্রবণ থেকে দূরে রাখা হোত।
15:18 নং আয়াহ : তবে যে (শাইত্বান সৌরজগতে পৌঁছে ফেরেস্তাদের কুরআন সম্পর্কে আলোচনা থেকে) কোনও কিছু শুনতে [26:210-212] চেষ্টা করে, তখন তার পিছনে ধাওয়া করে জলন্ত [72:8-10, 37:8-10] অগ্নিশিখা।
# আসলে পবিত্র কুরআন দুবার নাযিল হয়েছিল। একবার লৌহে মাহফুজ্ব থেকে সৌরজগতে, দ্বিতীয় বার সেখান থেকে 22/ 23 বছর ধরে নাবী (সা) এর কাছে। সৌরজগতে যখন পবিত্র কুরআন নাযিল করা হয়েছিল, তখন সেই সম্পর্কে ফেরেস্তা আলোচনা করতেন। জিনরা যাতে সেই আলোচনা শুনতে না পায়, তাই তাদের পৃথিবী বের হওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখানে সেই কথাই বলা হচ্ছে। যদিও ভবিষ্যতে মানুষ ও জিন উভয়ই পৃথিবী থেকে বের হতে পারবে, মহাবিশ্ব থেকেও বের হতে পারবে (55:33)।
পর্বতমালা গুলো যেভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
15:19 নং আয়াহ : আর আমরা টেকটনিক প্লেট গুলোকে সঞ্চালিত করি [13:3-4] এবং (এর মাধ্যমে) তাতে পর্বত মালা সমূহ উত্থিত করেছি [78:6-7]। এবং (প্রয়োজন মুতাবিক) তাতে আমরা সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছি যথাযথ/ সুনির্দিষ্ট পরিমাণে।
পৃথিবীতে রয়েছে অগণিত জীবিকা/ রোজগারের পদ্ধতি।
15:20 নং আয়াহ : এবং আমরা তাতে (পৃথিবীতে) সৃষ্টি করেছি তোমাদের জন্য জীবিকার অগণিত উপায় এবং তোমরা যার রিযিকদাতা নও, তার জন্যেও জীবন যাপনের ব্যবস্থা করেছি।
পৃথিবীতে সমস্ত কিছু রয়েছে সুনির্দিষ্ট পরিমাণে।
15:21 নং আয়াহ : এবং এমন কোনও পদার্থ/ বস্তু নেই, যার খাজানা/ ভান্ডার সমূহ আমাদের কাছে নেই। কিন্তু আমরা তা (মহাকাশ থেকে) নাযিল করি/ নামাই আমাদের জ্ঞান মুতাবিক যথাযথ/ সুনির্দিষ্ট পরিমাণে।
বৃষ্টিপাতে বাতাসের ভূমিকা এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের নির্দেশ।
15:22 নং আয়াহ : আর আমরা প্রেরণ করেছি জলীয়বাষ্প বহনকারী বাতাস [32:27]। অতঃপর আমরা বায়ুমণ্ডল থেকে বৃষ্টি আকারে নামাই। অতঃপর আমরা তা তোমাদেরকে পান করাই। কিন্তু তোমরা তা (বৃষ্টির পানি) সংরক্ষণ করছ না [23:18]।
আল্লাহ সমস্ত কিছুর মালিক।
15:23 নং আয়াহ : আর আমরাই জীবন দিই, আমরাই মৃত্যু দিই [2:28]। এবং আমরাই সমস্ত কিছুর ওয়ারিশ/ মালিক [22:89, 28:58]
আল্লাহ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ জানেন।
15:24 নং আয়াহ : এবং অবশ্যই আমরা জানি- তোমাদের পূর্বে যারা গত হয়েছে। এবং অবশ্যই তাদেরও জানি, যারা তোমাদের পরে আসবে [23:17, 2:255]।
বিচারের জন্য একত্রিতকরণ অবশ্যই হবে।
15:25 নং আয়াহ : এবং নিশ্চয়ই আপনার প্রভু তাদের সবাইকে একত্রিত করবেন [69:16-17]। নিশ্চয়ই তিনি বিজ্ঞানী ও জ্ঞানী।
প্রথম মানুষ আদম (আ) কে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি থেকে।
15:26 নং আয়াহ : আর অবশ্যই আমরা মানুষকে (আদমকে) সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে মাটি [55:14] থেকে। যা পূর্বে ছিল বিশ্রী গন্ধযুক্ত কাদামাটি [32:7, 38:71]।
প্রথম জিন ইবলীসকে সৃষ্টি করা হয়েছে (নক্ষত্রের) আগুন থেকে।
15:27 নং আয়াহ : এবং এর পূর্বে আমরা জিনকে সৃষ্টি করেছি অতি উত্তপ্ত আগুন থেকে [55:15]।
আদম (আ) সৃষ্টি, তাকে সিজদা প্রসঙ্গে ফেরেস্তাদেরকে নির্দেশ।
15:28 নং আয়াহ : আর (শুনুন সেই সময়ের কথা) যখন আপনার প্রভু ফেরেস্তাদেরকে বললেন- “নিশ্চয়ই আমি মানুষকে (আদমকে) সৃষ্টি করেছি শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে। যা পূর্বে ছিল বিশ্রী গন্ধযুক্ত কাদামাটি [15:26]।
15:29 নং আয়াহ : এতএব যখন তাকে পূর্ণ বিকশিত করব এবং তার ভিতরে আমার রূহ [17:85, 38:72] প্রবেশ করাব, তখন তাকে সিজদা/ শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করবে”।
সমস্ত ফেরেস্তারা সিজদা করল, ইবলীস করল না।
15:30 নং আয়াহ : তাকে সমস্ত ফেরেস্তারা সিজদা/ শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণা করল,
15:31 নং আয়াহ : ইবলীস ছাড়া [18:50]। সে সিজদা/ শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণাকারীদের অন্তর্ভুক্ত হতে অস্বীকার [38:74] করল।
আল্লাহ সিজদা ‛না করার’ কারণ জিজ্ঞাসা করলেন।
15:32 নং আয়াহ : (আল্লাহ) বললেন- “হে ইবলীস, তোমার কি হয়েছে যে, তুমি সিজদা/ শ্রেষ্ঠত্ব ঘোষণাকারীদের সঙ্গে সিজদা/ শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা করলে না”??
যে কারণে ইবলীস আদম (আ) কে সিজদা করে নি।
15:33 নং আয়াহ : (ইবলিস) বলল- “আমি তো এমন নই যে, একজন মানুষকে আমি সিজদা/ শ্রেষ্ঠ ঘোষণা করব। যাকে আপনি সৃষ্টি করেছেন শুকনো ঠনঠনে মাটি থেকে, যা পূর্বে ছিল বিশ্রী গন্ধযুক্ত কাদামাটি” [7:12, 17:61]।
আল্লাহ ইবলীসকে বের করে দিলেন।
15:34 নং আয়াহ : (আল্লাহ) বললেন- “তুমি এখান থেকে বের হয়ে যাও। নিশ্চয়ই তুমি বিতাড়িত [38:77]।
# ‛এখান থেকে’ বলতে?? জান্নাত থেকে?? না, এখন আদম (আ) ও তার স্ত্রীকে জান্নাতে রাখা হয় নি। সিজদার বিষয় গুলো মিটমাট হয়ে গেলে আদম (আ) ও তার স্ত্রীকে জান্নাতে রাখা হবে। তারপর ইবলীস তাকে আল্লাহর আদেশ অমান্য করতে উৎসাহিত করবে। চাইলে 7:19-22 ও 20:117-120 দেখুন। তাহলে ‛এখান থেকে’ বলতে কি ভিন্ন কোনও স্থান?? হ্যাঁ। নাম কি?? পবিত্র কুরআনে সেই তথ্য নেই। তবে হতে সিদরাতুল মুনতাহা জাতীয় কোনও স্থান।
আল্লাহ ইবলীসকে ঘৃণ্য ঘোষণা করলেন।
15:35 নং আয়াহ : এবং নিশ্চয়ই তোমার উপর লানত/ ঘৃণা বিচার দিবস পর্যন্ত” [38:78]।
ইবলীস আল্লাহর থেকে অবকাশ চাইলেন।
15:36 নং আয়াহ : (ইবলিস) বলল- “হে আমার প্রভু, আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত অবকাশ দিন” [38:79, 7:14]।
আল্লাহ ইবলীসকে অবকাশ দিলেন।
15:37 নং আয়াহ : (আল্লাহ) বললেন- “নিশ্চয়ই তুমি অবকাশ/ ছাড় প্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত [38:80]।
15:38 নং আয়াহ : সেই দিন পর্যন্ত, যেদিন পরিচিত ওয়াক্ত/ সময়ের অস্তিত্ব থাকবে না”।
ইবলীস যাদেরকে আকর্ষিত করবে, যাদেরকে করবে না।
15:39 নং আয়াহ : (ইবলীস) বলল- “হে আমার প্রভু, যার জন্য আপনি আমাকে বিপথগামী করলেন, অবশ্যই আমি তাদের জন্য আরদ্ব/ ইহজীবনকে সুশোভিত করব এবং আমি তাদের সবাইকে বিপথগামী করব [7:16-17]।
15:40 নং আয়াহ : তাদের ছাড়া, আপনার বান্দাদের মধ্যে যারা মুখলীস/ একনিষ্ঠ” [38:82-83, 34:20]।
15:41 নং আয়াহ : (আল্লাহ) বললেন- “এটা চূড়ান্ত সফলতার পথ, যা আমার দিকে আসে [6:153, 84:6]।
15:42 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই যারা আমার বান্দা, তাদের উপর তোমার কোনও সুলত্বান/ ক্ষমতা থাকবে না [17:65]। তবে যারা তোমাকে অনুসরণ করবে, সেই পথভ্রষ্টরা ছাড়া।
ইবলীস ও তার অনুসারীদের ঠিকানা জাহান্নাম।
15:43 নং আয়াহ : এবং নিশ্চয়ই তাদের সবার জন্য ওয়াদাকৃত স্থান হবে জাহান্নাম [7:18, 38:85]
জাহান্নামের দরজা ‛সাত’ টি।
15:44 নং আয়াহ : তার (জাহান্নামের) আছে সাতটি দরজা [78:19]। এবং প্রত্যেকটি দরজা দিয়ে প্রবেশ করার জন্য তাদের মধ্যে থাকবে ভিন্ন ভিন্ন দল।
মুত্তাকীদের ঠিকানা জান্নাতের ঝর্ণাধারা।
15:45 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই মুত্তাকীরা (অপকর্ম থেকে দূরত্ব অবলম্বনকারীরা) থাকবে জান্নাতে, ঝর্ণাধারা সমূহের মধ্যে [51:15]।
মুত্তাকীদের অভিভাদন হবে ‛সালাম’।
15:46 নং আয়াহ : (বলা হবে) তাতে (জান্নাতে) তোমরা প্রবেশ কর সালাম সহ, নিরাপদে [33:44, 39:73]।
জান্নাতীদের মস্তিষ্কে কোনও হিংসা বিদ্বেষ থাকবে না।
15:47 নং আয়াহ : এবং আমরা তাদের মস্তিষ্ক সমূহ থেকে দূর করে দেব হিংসা-বিদ্বেষ [7:43]। তারা মুখোমুখি হয়ে ভাই ভাই হয়ে আসন গ্রহণ করবে [55:76, 88:11-16]।
জান্নাতে কেউ কখনও ক্লান্ত হবে না।
15:48 নং আয়াহ : তাদেরকে সেখানে স্পর্শ করবে না ক্লান্তি, আর না তারা কখনও বহিস্কৃত হবে [18:108, 7:43, 34:35]।
আল্লাহর বিশেষ দুটি বৈশিষ্ট্য।
15:49 নং আয়াহ : আমার বান্দাদেরকে জানিয়ে দিন যে, নিশ্চয়ই আমি [39:53] মহা ক্ষমাশীল ও মহা করুণাময়।
15:50 নং আয়াহ : এবং এও (জানিয়ে দিন) আমার শাস্তি মহা কষ্টদায়ক।
ইবরাহীম (আ) এর কাছে মানুষ রূপে ফেরেস্তারা এলেন।
15:51 নং আয়াহ : আর তাদেরকে ইবরাহীমের মেহমান দের তথ্য জানিয়ে দিন।
15:52 নং আয়াহ : যখন তারা (মেহমানরা) তার কাছে প্রবেশ করে বলল- “সালাম” [51:25, 11:69]। তিনি বললেন- “আমরা (আমি ও আমার স্ত্রী) তোমাদেরকে দেখে আতঙ্কিত হচ্ছি” [11:70]।
# এজন্য অনেকেই অভিভাদন হিসাবে শুধুমাত্র বলেন- “সালাম”। আসলে এটা বোঝার ভুল। বলা হচ্ছে- “ফেরেস্তারা এসে বলল- সালাম”। অর্থাৎ তারা কিভাবে সালাম দিল, এখানে তা বলা হচ্ছে না। বলা হচ্ছে- তারা সালাম দিল। সালাম দেওয়ার পদ্ধতি হল- “আস সালামু আলাইকুম”। বিস্তারিত 56:26 এ।
ইবরাহীম (আ) কে পুত্রের সুসংবাদ দেওয়া হল।
15:53 নং আয়াহ : (ফেরেস্তারা) বললেন- “আতঙ্কিত হবেন না। নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে একটি জ্ঞানী পুত্রের সন্তানের সুসংবাদ দিচ্ছি” [51:28, 11:71]।
ইবরাহীম (আ) পুত্রের সুসংবাদ পেয়ে অবাক হলেন।
15:54 নং আয়াহ : (ইবরাহীম) বললেন- আপনারা কি এই অবস্থায় আমাকে সুসংবাদ দিচ্ছেন, যখন বার্ধক্য আমাকে স্পর্শ করেছে?? এতএব তা কি ধরণের সুসংবাদ!
নিরাশ হওয়া হারাম, নিরাশ হয় পথভ্রষ্টরা।
15:55 নং আয়াহ : (ফেরেস্তারা) বললেন- “আপনাকে যে সুসংবাদ দিচ্ছি, তা সত্য। এতএব আপনি নিরাশদের অন্তর্ভুক্ত হবেন না”।
15:56 নং আয়াহ : (ইবরাহীম) বললেন- “পথভ্রষ্টরা ছাড়া তার প্রভুর রহমত থেকে আর কে নিরাশ হয় [12:86, 39:53]??
ইবরাহীম (আ) ফেরেস্তাদের আসার উদ্দেশ্য জিজ্ঞাসা করলেন।
15:57 নং আয়াহ : ইবরাহীম বললেন- “এতএব হে সম্মানিত প্রেরিতরা (ফেরেস্তারা) আপনাদের উদেশ্য কি” [51:31]??
ফেরেস্তারা তাদের উদ্দেশ্য জানিয়ে দিলেন।
15:58 নং আয়াহ : (ফেরেস্তারা) বললেন- “আমরা প্রেরিত হয়েছে মুজরিম/ অপরাধী কাওম/ জাতির প্রতি [51:32]।
15:59 নং আয়াহ : তবে লূতের পরিবার ছাড়া। নিশ্চয়ই আমরা তাদের সবাইকে রক্ষা করব [51:35-36]।
15:60 নং আয়াহ : তবে তার স্ত্রীকে ছাড়া। আমরা নির্ধারণ করেছি যে, সে (লূতের স্ত্রী) পিছনে থেকে যাওয়া মানুষদের অন্তর্ভুক্ত”।
ফেরেস্তারা লূত (আ) এর কাছে পৌঁছালেন।
15:61 নং আয়াহ : অতঃপর যখন লূতের পরিবারের কাছে আসলেন প্রেরিতরা/ ফেরেস্তারা [11:77],
লূত (আ) ফেরেস্তাদেরকে চিনতে পারলেন না।
15:62 নং আয়াহ : (লূত) বললেন- নিশ্চয়ই আপনারা অপরিচিত কাওম/ সম্প্রদায়ের মানুষ।
ফেরেস্তারা নিজেদের পরিচয় দিলেন।
15:63 নং আয়াহ : (ফেরেস্তারা) বললেন- না। বরং আমরা আপনার কাছে সেই বিষয় (আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তি) নিয়ে এসেছি, যে বিষয়ে এরা সন্দেহ পোষণ করে।
15:64 নং আয়াহ : এবং আমরা আপনার কাছে নিয়ে এসেছি সত্য। আর অবশ্যই আমরা সত্যবাদী।
লূত (আ) এর প্রতি ফেরেস্তাদের নির্দেশনা।
15:65 নং আয়াহ : সুতরাং রাত কিছুটা বাকি থাকতে থাকতে আপনি পরিবার সহ এখান থেকে চলে যান, আপনি তাদের পিছনে পিছনে চলবেন। আপনাদের মধ্যে কেউ পিছনে তাকাবেন না। আর যেমন নির্দেশনা দেওয়া হল, সেভাবেই চলবেন [11:81]।
লূত (আ) এর জাতিকে সমূলে ধ্বংস করা হবে।
15:66 নং আয়াহ : এবং আমরা তাকে জানিয়ে দিলাম যে, ভোর/ সকাল হলেই তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করা হবে [11:82]।
পায়ুকামীরা ফেরেস্তাদেরকে সাধারণ মানুষ ভেবেছিল।
15:67 নং আয়াহ : শহরের অধিবাসীরা খুশির খবর শুনে চলে [11:79] আসল (লূতের বাড়িতে)।
# শহরের অধিবাসীরা ভেবেছিল- “যারা লূতের বাড়িতে এসেছেন, তারা সাধারণ পুরুষ। আমরা তাদেরকে ধর্ষণ করব/ পায়ুকাম করব”।
লূত (আ) তার জাতির কাছে কাকুতি মিনতি করছেন।
15:68 নং আয়াহ : (লূত) বললেন- “এরা আমার মেহমান। এতএব আমাকে (এদের সামনে) লজ্জিত [11:78] কর না।
15:69 নং আয়াহ : এবং আল্লাহর জন্য তাকওয়া (অপকর্ম থেকে দূরত্ব) অবলম্বন কর। আর এভাবে আমাকে লাঞ্চিত কর না”।
লূত (আ) এর জাতি “ইসলাম প্রচার” নিষিদ্ধ করেছিল।
15:70 নং আয়াহ : তারা বলল- “আমরা কি তোমাকে নিষেধ করি নি [26:167] সমাজ সংশোধন করতে”??
লূত (আ) শেষ বার বোঝাবার চেষ্টা করছেন।
15:71 নং আয়াহ : (লূত) বললেন- “এরা আমার কন্যারা/ নারী জাতি, যদি কর্ম সম্পাদন করতে চাও” [11:78-79]।
আল্লাহ নাবী (সা) এর জীবনের শপথ করেছেন।
15:72 নং আয়াহ : আপনার (মুহাম্মাদের) জীবনের শপথ, নিশ্চয়ই তারা নেশায় উদভ্রান্ত অবস্থায় ছিল।
ভোর হতেই গ্ৰহাণু পতন হয়ে গেল।
15:73 নং আয়াহ : অতঃপর সূর্য প্রকাশ হতেই তাদেরকে ধরে ফেলল (গ্ৰহাণু পতনের) বিকট শব্দ।
15:74 নং আয়াহ : অতঃপর আমরা (গ্ৰহাণু পতনের মাধ্যমে তাদের বাসভূমিকে) ওলটপালট করে দিলাম। আর তার সঙ্গে তাদের উপর বর্ষণ করলাম বড় বড় উল্কাপিণ্ডের বৃষ্টি।
গ্ৰহাণু পতন ‛মহাকাশ গবেষণা’ সম্পর্কিত বিষয়।
15:75 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত বর্ণনার মধ্যে মহাকাশ গবেষক দলের জন্য রয়েছে বহু নিদর্শন।
15:76 নং আয়াহ : এবং নিশ্চয়ই তা পথ চলাচলের পাশেই অবস্থিত।
# বলা হয়- তাদের অবস্থান ছিল মৃত সাগরের পাশ্ববর্তী এলাকায়। যেহেতু এই এলাকা ওলটপালট করে দেওয়া হয়েছিল, সেহেতু এই এলাকা পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু এলাকা (30:3)।
লূত (আ) কাহিনীতে মূমীনদের নিদর্শন রয়েছে।
15:77 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই ঐ সমস্ত বর্ণনার মধ্যে মূমীনদের জন্য রয়েছে বহু নিদর্শন।
আইকা/ শুয়াইব (আ) এর জাতিও ধ্বংস হয়েছিল।
15:78 নং আয়াহ : আর অবশ্যই আইকার অধিবাসীরা ছিল জ্বালিম/ সীমালঙ্ঘনকারী [26:176-191]।
লূত (আ), শুয়াইব (আ) এর জাতির সভ্যতার রাস্তা ছিল অতুলনীয়।
15:79 নং আয়াহ : এতএব আমরা তাদের থেকে (মানুষের পক্ষ থেকে) ইনতিকাম/ প্রতিশোধ নিলাম [30:47]। দুই সভ্যতার রাস্তা ছিল ইমাম (নেতৃত্ব বা উদাহরণ) সৃষ্টিকারী।
সালেহ (আ) এর জাতিও ধ্বংস হয়েছিল।
15:80 নং আয়াহ : আর হিজরের অধিবাসীরাও (সামূদ জাতি) রাসুলদের অস্বীকার করেছিল [26:141]।
# প্রশ্ন হবে- “তারা শুধু তাদের রাসূল/ সালেহ (আ) কে অস্বীকার করেছিল। তারা সমস্ত রাসূলকে অস্বীকার করে নি। এটা তো ব্যাকারণগত ভুল”। হ্যাঁ, প্রচলিত ব্যাকারণের দৃষ্টিতে এটা ভুল। তবে এটা কুরআনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য ও সৌন্দর্য্য। বিস্তারিত জানতে দেখুন 73:15 আয়াহ ও টিকা।
তারা আল্লাহর প্রেরিত কিতাব অস্বীকার করেছিল।
15:81 নং আয়াহ : আমরা তাদেরকে দিয়েছিলাম আয়াত সমূহ (কিতাব)। কিন্তু তারা মুখ ফিরিয়ে [7:75-76] নিয়েছিল।
সালেহ (আ) এর জাতি পাহাড় পর্বত কেটে বাড়ি নির্মাণ করত।
15:82 নং আয়াহ : তারা পাহাড় পর্বত কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে নিজেদেরকে নিরাপদ ভাবত [26:149]।
গ্ৰহাণু পতনের বিকট শব্দে ও ভূমিকম্পে তারা ধ্বংস হয়েছিল।
15:83 নং আয়াহ : অতঃপর ভোর/ সকাল হতেই তাদেরকে ধরে ফেলল বিকট শব্দ [11:67]।
15:84 নং আয়াহ : অতঃপর তাদের অর্জন (উন্নত সভ্যতা) তাদের কোনও কাজে আসল না [7:78]।
কাফিরদেরকে ক্ষমা করার নির্দেশ।
15:85 নং আয়াহ : আর আল্লাহ মহাবিশ্ব, পৃথিবী ও যা কিছু রয়েছে উভয়ে, সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে। সুতরাং সেই সময়/ সেই ক্ষণ অবশ্যই আসবে। তাদেরকে (কাফিরদেরকে) ক্ষমা করুন [45:14] ও ভদ্রতার সঙ্গে তাদেরকে এড়িয়ে চলুন [73:10]।
আল্লাহ মহাস্রষ্টা/ শূন্য থেকে সৃষ্টিকারী।
15:86 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই আপনার প্রভু মহাস্রষ্টা/ শূন্য থেকে সৃষ্টিকারী [2:117, 36:81] ও মহাজ্ঞানী [2:32]।
প্রতি রাকাতে সূরাহ ফাতিহাহ পাঠ করার নির্দেশনা।
15:87 নং আয়াহ : আর অবশ্যই আমরা আপনাকে দিয়েছি ‛সাত আয়াত’, যা বারবার (নামাজে) পাঠিত হচ্ছে এবং কুরআন, যা সুমহান [38:1]।
# অনেকেই এই আয়াহ দেখিয়ে বলেন- “সূরাহ ফাতিহাহ কুরআন নয়”। কেননা বলা হয়েছে- “দেওয়া হয়েছে সাত আয়াত এবং কুরআন”। তারমানে, সূরাহ ফাতিহাহ কুরআন থেকে ভিন্ন”। আসলে জ্ঞানের অভাবেই তারা এমনটা বলে থাকেন। এর উত্তর নাবী (সা) 1500 বছর আগেই দিয়েছেন- “সূরাহ ফাতিহাহ-ই হল বারবার পাঠ হওয়া সাত আয়াত এবং সূরাহ ফাতিহাই হল : কুরআন” (বুখারী, হাদীশ 4704)।
প্রশ্ন হবে- “তাহলে ‘ওয়া/ এবং’ বলা হল কেন?? এখানে কুরআনের অন্তর্ভুক্ত সাত আয়াত বলা হল না কেন”?? এটা আরবি রীতি। যেমন ধরুন 97:4 এ ফেরেস্তাদের থেকে জিবরীল (আ) ‛ওয়া/ এবং’ দিয়ে আলাদা ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও জিবরীল (আ) ফেরেস্তাদেরই অন্তর্ভুক্ত। এটা সম্মান প্রদর্শন করার জন্য করা হয়ে থাকে। তেমনই 15:87 তে সূরাহ ফাতিহাহকে সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে। যাইহোক, আরেকটা হাদীশ- “যে ব্যক্তি নামাজে সূরাহ ফাতিহাহ পড়ল না, তার নামাজ হল না” (বুখারী, হাদীশ 756)। তবে ইমামের পিছনে সশব্দে কিরাতের সময় সূরাহ ফাতিহাহ পড়ার দরকার নেই (কুরআন, 7:204 ও ইবনে মাজাহ, হাদীশ 847)।
# তবে প্রশ্ন থেকে গেল- হাদীশ অস্বীকারকারীদের জন্য। তা হল- এই সাত আয়াত কি সূরাহ ফাতিহাহ, নাকি সূরাহ মাউন?? এখন আপনি যে উত্তরই দিন না কেন সেটাই মানব রচিত। দেখুন কি করবেন!
15:88 নং আয়াহ : আমরা ভোগের উপকরণ হিসাবে তাদের মধ্যে কয়েকজনকে যা প্রদান করেছি, সেই দিকে আপনি আপনার চোখ দুটিকে প্রসারিত করবেন না। আর তাদের (অমানবিক কর্মের) জন্য দুঃখ করবেন না [5:41]। আপনি আপনার বাহু/ হাত মূমীনদের (সাহায্যে) জন্য প্রসারিত রাখুন [26:215]।
নাবী (সা) অন্যান্য সতর্ককারীদের মতোই একজন সতর্ককারী।
15:89 নং আয়াহ : এবং বলুন- “নিশ্চয়ই আমি একজন সুস্পষ্ট নাযির/ সতর্ককারী” [13:7]।
15:90 নং আয়াহ : যেমন (সতর্ককারী) আমরা প্রেরণ করেছিলাম (নিজেদেরকে দলে দলে) বিভক্তকারীদের [3:104] জন্য [53:56]
মাক্কাহর কাফির/ মুশরিকরা কুরআন ছিন্ন ভিন্ন করতে চাইত।
15:91 নং আয়াহ : যারা কুরআনকে ছিন্ন ভিন্ন করে ফেলেতে চায় [75:17],
15:92 নং আয়াহ : আপনার প্রভুর শপথ, অবশ্যই তাদের সবাইকে জিজ্ঞাসা করা হবে,
15:93 নং আয়াহ : তারা কোন আমল/ কর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিল [26:113, 59:18]।
15:94 নং আয়াহ : সুতরাং প্রকাশ্যে প্রচার করুন, যা আপনাকে আদেশ করা হয়েছে [5:67]। এবং উপেক্ষা করুন মুশরিকদের [73:10]।
সমস্ত অপবাদ ও ব্যঙ্গ বিদ্রুপ একদিকে, আল্লাহ একদিকে।
15:95 নং আয়াহ : নিশ্চয়ই আমরা আপনার জন্য কাফি/ যথেষ্ট [4:45], যারা আপনাকে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ করে [43:7], তাদের বিরুদ্ধে [14:12]।
আল্লাহ ছাড়া কোনও ঈশ্বর নেই, তা প্রমাণিত হওয়ার ভবিষ্যৎ বাণী।
15:96 নং আয়াহ : যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য ইলাহা/ ঈশ্বর দাঁড় করায় [41:9, 2:163], শীঘ্রই তারা (সত্য) জানতে [21:22, 23:91 পারবে [37:35, 47:19]।
মানসিক চাপে মস্তিষ্কের নিউরনের ক্ষতি ও মৃত্যু হয়।
15:97 নং আয়াহ : আর অবশ্যই আমরা জানি- তারা যা বলে, তাতে আপনার স্বদর/ মস্তিষ্ক সংকোচিত [70:5, 73:10] হয়।
নাবী (সা) কে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার নির্দেশ।
15:98 নং আয়াহ : সুতরাং আপনার প্রভুর পবিত্রতা বর্ণনা করুন প্রশংসা সহ। আর আপনি হয়ে যান সিজদাকারী/ আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠাকারীদের অন্তর্ভুক্ত।
নাবী (সা) কে ‛মৃত্যু না আসা পর্যন্ত’ ইবাদত করার নির্দেশ।
15:99 নং আয়াহ : এবং ইবাদত করুন আপনার প্রভুর, যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনার কাছে ইয়াকীন/ মৃত্যু আসে।